শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - শসা খাওয়ার সঠিক সময়
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি সেগুলো নিয়ে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। কিভাবে আপনি শসা খাবেন ও ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেটা নিয়ে আমি আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এই নিচে আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানাতে। আর এছাড়া বেশ আরো কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে তো চলুন আমরা আজকে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
ভূমিকা
শসা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের উচিত প্রতিদিন শসা খাওয়া প্রতিদিন শসা খাওয়ার ফলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। শসা হাইপারটেনশন এর রোগীদের জন্য খুবই উপকা। নিয়মিত শসা খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসায় যে পানি থাকে, যা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ অনেকটা সাহায্য করে। শসা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।আমাদের উচিত নিয়মিত শসা খাওয়া। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।নিয়মিত আমাদের দেহের যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার অধিকাংশ শসার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। একই ভাবে এর মধ্যে একটি ভালো পরিমাণে জল রয়েছে।শসা হাইপারটেনশন এর রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
এর জন্য নিয়মিত শসা খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি রোগমুক্ত থাকতে পারবেন। শসা উপকারিতা হলো ওজন কমান, হৃদপিণ্ড ভালো রাখা ব্যথা কমানো ইত্যাদি। শসার পানির পরিমাণ বেশি থাকে।
এটি আপনার খাদ্য তালিকায় সতেজ ও হাইড্রেটিং সংযোজন হতে পারে। শসার মূত্রবর্ধক প্রভাব রয়েছে, যা কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে আপনাকে প্রতিরোধ করবে এবং কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
শসা খাওয়ার অপকারিতা
শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও শসা উপকারিতাও রয়েছে। শসা খাওয়ার ফলে যেমন পেটের সমস্যা দূর হয় তেমনি অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা বৃদ্ধি হয়। তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত শসা না খাওয়া।অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বদহজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত শসা না খাওয়া। অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক্ পেটে ব্যথা পেট ফাঁপা, বমি
বমি ভাব এরকম নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। খালি পেটে শসার জুস বা সালাড খেলে শরীর ভালোভাবে হাইড্রেট থাকে। শসাকে শরীরকে ডিটক্স করার জন্য সেরা পানীয় হিসেবে মনে করা হয়। শসা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে ও শসার জুস অনেক কার্যকরী। হজম শক্তি বাড়াতে খালি পেটে শসার টুকরো খান।ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম
শসার খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে শসার মধ্যে।শসায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, এবং ফোলেটেরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফোলেট থাকার জন্য এটি অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে ও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শসার জুস সঠিক নিয়ম মেনে খেলে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।শসা দিয়ে রূপচর্চা
শসা ফেস মাস্ক হিসেবে ও ব্যবহার করা যায়। শসা গ্রেট করে বা থেঁতো করে সেই মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে এই শসা।চোখের চারপাশে শসা ব্যবহার করলে চোখের ফোলাভাব এবং কালো দাগ দূর হয়। শুষ্ক ত্বকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এই শসা। শসা ত্বকে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। নিয়মিত ত্বকে শসা ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণকে সুস্থ রাখতে এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য শসায় বিদ্যমান পুষ্টি গুলো। শসার উপস্থিত ভিটামিন বি ৬ এবং বি ৯ উদ্বেগ, মানসিক চাপ কমাতে এবং মন ভালো করতে সাহায্য করে যা গর্ভ অবস্থায় অনেক উপকারী।শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সকালে শসা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে শসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। সকালে শসা না খেয়ে থাকলে ও দুপুরে অবশ্যই শসা খাবেন। রাতে শসা খাওয়া উচিত। সবসময় সকালে ও দুপুরে শসা খাওয়া উত্তম। শসা আমরা অনেক ভাবে খেতে পারি। আমরা শসাকে জুস বা সালাড হিসেবে খেতে পারি। এছাড়াও শসা দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। আমরা বিকালের নাস্তায় শসার রায়তা, দই -শসা রাখতে পারি।লেখকের মন্তব্য
শসা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। একই ভাবে এর মধ্যে একটি ভালো পরিমাণে জল রয়েছে। শসা খেলে দেহ সুস্থ থাকে। শসা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শসা খেলে কিডনি ভালো থাকে। শসা খেয়ে আমরা ওজন কমাতে পারি। শসা খাওয়া ও ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়।আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব দের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url